০৭:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোরে ঘুষের টাকা নিতে গিয়ে আটক তহশিলদার চেক দিয়ে রক্ষা

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৭৫ বার পড়া হয়েছে

মো রাজু আহমেদ, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে ঘুষের টাকা নিতে গিয়ে জনগণের হাতে আটক তহশিলদার অবশেষে ব্যাংকের চেক দিয়ে উদ্ধার হয়েছেন বলে জানা গেছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর বাজারে ঘটেছে।

তহশিলদার কাওসার আলীর এমন কান্ডে উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। চাঞ্চল্যকর এঘটনায় বইছে সমালোচনার ঝড়। তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন সাধারনরা।

ঘটনা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর গ্রামের প্রভাষক নাজমুল চৌধুরী তার জমি খারিজ খাজনার জন্য কামারগাঁ ইউনিয়ন তহশিলদার কাওসার আলীর শরণাপন্ন হন। আর সেই সুযোগে তহশিলদার কাওসার আলী জমি খারিজ খাজনার নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পন্থায় প্রভাষক নাজমুল চৌধুরীর কাছে থেকে ২লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু খারিজ খাজনা না করে আবারো টাকার জন্য প্রভাষক নাজমুল চৌধুরীকে চাপ দেন তহশিলদার কাওসার আলী।

এতে করে তহশিলদার কাওসার আলীর উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে টাকা দেয়ার নাম করে মাদারীপুর বাজারে তহশিলদার কাওসার আলীকে ডাকেন প্রভাষক নাজমুল চৌধুরী। তহশীলদার কাওসার মাদারীপুর বাজারে প্রভাষক নাজমুল চৌধুরীর কাছে এসে ঘুষের টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে তহশিলদার কাওসার আলী কে আটক করে বাজারের জনগণ। কিন্তু তদবিরের মাধ্যমে ২লক্ষ টাকার চেক দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্ষা পেয়ে সটকে পড়েন তহশিলদার কাওসার আলী।

অন্যদিকে তহশিলদার কাওসার আলীর এমন জঘন্য ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তহশীলদারের একের পর এক তথ্য ফাঁস হতে শুরু করেছে।

অভিযোগ উঠেছে,তহশিলদার কাওসার আলী বিপুল অর্থের বিনিময়ে কৃষি জমি শ্রেণি পরিবর্তন না করে পুকুর খননে সহযোগিতা করে চলেছেন। এমনকি তাকে টাকা না দিলে পুরাতন পুকুর সংস্কার করা যায়না।

এবিষয়ে প্রভাষক নাজমুল চৌধুরী জানান,তহশিলদার কাওসার আলী আমার জমি খারিজ করে দেয়ার নামে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়েও জমি খারিজ করে না দিয়ে উল্টো আরো টাকার জন্য চাপ দেন। ফলে বাধ্য হয়ে ঘুষ নেওয়ার সময় তাকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। সে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনদের মাধ্যমে আমাকে ২লক্ষ টাকার ব্যাংক চেক দিয়ে রক্ষা পেয়েছে।

এবিষয়ে জানতে কামারগাঁ ইউনিয়ন তহশিলদার কাওসার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রভাষক নাজমুল চৌধুরী আমার কাছে ধারের টাকা পেত। সেই টাকা নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। আবার সমাধান করাও হয়েছে। এসব নিয়ে খবর প্রকাশ করার কিছু নাই বলে দম্ভোক্তি দেখান তহশিলদার কাওসার আলী।

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সংশ্লিষ্ট কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও খায়রুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনা তার জানা নাই,এমন হয়ে থাকলে খোঁজ খবর নিয়ে তহশিলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

তানোরে ঘুষের টাকা নিতে গিয়ে আটক তহশিলদার চেক দিয়ে রক্ষা

আপডেট সময় : ১২:২২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মো রাজু আহমেদ, তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে ঘুষের টাকা নিতে গিয়ে জনগণের হাতে আটক তহশিলদার অবশেষে ব্যাংকের চেক দিয়ে উদ্ধার হয়েছেন বলে জানা গেছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে, ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার বিকেলে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর বাজারে ঘটেছে।

তহশিলদার কাওসার আলীর এমন কান্ডে উপজেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। চাঞ্চল্যকর এঘটনায় বইছে সমালোচনার ঝড়। তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন সাধারনরা।

ঘটনা ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের মাদারীপুর গ্রামের প্রভাষক নাজমুল চৌধুরী তার জমি খারিজ খাজনার জন্য কামারগাঁ ইউনিয়ন তহশিলদার কাওসার আলীর শরণাপন্ন হন। আর সেই সুযোগে তহশিলদার কাওসার আলী জমি খারিজ খাজনার নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পন্থায় প্রভাষক নাজমুল চৌধুরীর কাছে থেকে ২লক্ষ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। কিন্তু খারিজ খাজনা না করে আবারো টাকার জন্য প্রভাষক নাজমুল চৌধুরীকে চাপ দেন তহশিলদার কাওসার আলী।

এতে করে তহশিলদার কাওসার আলীর উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে টাকা দেয়ার নাম করে মাদারীপুর বাজারে তহশিলদার কাওসার আলীকে ডাকেন প্রভাষক নাজমুল চৌধুরী। তহশীলদার কাওসার মাদারীপুর বাজারে প্রভাষক নাজমুল চৌধুরীর কাছে এসে ঘুষের টাকা নেয়ার সময় হাতেনাতে তহশিলদার কাওসার আলী কে আটক করে বাজারের জনগণ। কিন্তু তদবিরের মাধ্যমে ২লক্ষ টাকার চেক দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্ষা পেয়ে সটকে পড়েন তহশিলদার কাওসার আলী।

অন্যদিকে তহশিলদার কাওসার আলীর এমন জঘন্য ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তহশীলদারের একের পর এক তথ্য ফাঁস হতে শুরু করেছে।

অভিযোগ উঠেছে,তহশিলদার কাওসার আলী বিপুল অর্থের বিনিময়ে কৃষি জমি শ্রেণি পরিবর্তন না করে পুকুর খননে সহযোগিতা করে চলেছেন। এমনকি তাকে টাকা না দিলে পুরাতন পুকুর সংস্কার করা যায়না।

এবিষয়ে প্রভাষক নাজমুল চৌধুরী জানান,তহশিলদার কাওসার আলী আমার জমি খারিজ করে দেয়ার নামে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নিয়েও জমি খারিজ করে না দিয়ে উল্টো আরো টাকার জন্য চাপ দেন। ফলে বাধ্য হয়ে ঘুষ নেওয়ার সময় তাকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। সে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনদের মাধ্যমে আমাকে ২লক্ষ টাকার ব্যাংক চেক দিয়ে রক্ষা পেয়েছে।

এবিষয়ে জানতে কামারগাঁ ইউনিয়ন তহশিলদার কাওসার আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রভাষক নাজমুল চৌধুরী আমার কাছে ধারের টাকা পেত। সেই টাকা নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। আবার সমাধান করাও হয়েছে। এসব নিয়ে খবর প্রকাশ করার কিছু নাই বলে দম্ভোক্তি দেখান তহশিলদার কাওসার আলী।

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের সংশ্লিষ্ট কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও খায়রুল ইসলাম বলেন, এমন ঘটনা তার জানা নাই,এমন হয়ে থাকলে খোঁজ খবর নিয়ে তহশিলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।