০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চর আষাড়িয়াদহ সীমান্তে মাদকের রমরমা ব্যবসার মূলহোতা শরিফুল ভুটু ও বাক্কার

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ভারতীয় সীমান্তে ঘেষা এলাকায় মাদক চোরাচালানের ভয়াবহতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজিবির নজরদারি উপেক্ষা করে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এই এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছে মোঃ শরিফুল ইসলাম (ভুটু) ও মোঃ আবু বাক্কার এর নাম।

চর আষাড়িয়াদহ সীমান্তবর্তী দিয়ার মানিক চক গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস(হাগরা) ছেলে মোঃশরিফুল ইসলাম ওরফে ভুটু ) এবং তার সহযোগীরা নিয়মিত ভারত থেকে চোরাই পথে হেরোইন, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য দেশে আনছে।
স্থানীয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোঃ শরিফুল ইসলাম (ভুটু) ও মোঃ আবু বাক্কার ও মোঃ কবির (কটা ) ভুট্টু ও কটা আপন দুই ভাই মাদক ব্যবসায়ী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদীর চরের প্রায় ৩২ কিলোমিটার এলাকা হেরোইন পাচারের জন্য নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই রুট দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে হেরোইন, ফেনসিডিলসহ নানা মাদকদ্রব্য দেশে প্রবেশ করছে। গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে মাদক ব্যবসা বেড়েই চলেছে। এ সিন্ডিকেট এতটাই সক্রিয় যে, তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, তারা চোরাচালানের আড়ালে ভুটু ও তার পরিবার নিজেদের রাজমিস্ত্রি ও কৃষিকাজের পরিচয় দেন। তবে বাস্তবে তারা বিলাসবহুল বাড়ি এবং জমিজমা কিনে এলাকায় প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন। তারা মাদক সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিয়ে এলাকায় অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছে। গোদাগাড়ী সিএনবি তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় তাদের বিলাসবহুল বাড়ি এবং জমিজমা ক্রয় করে তাদের অবৈধ আয়ের প্রতিফলন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রাতের অন্ধকারে সীমান্তবর্তী বাড়িগুলোর সুবিধা কাজে লাগিয়ে এই সিন্ডিকেট মাদক পাচার কার্যক্রম চালায়। বিজিবির নজরদারি উপেক্ষা করে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনগণ বিজিবির আরও কঠোর নজরদারি এবং এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়,মোঃ শরিফুল ইসলাম (ভুটু) এবং মোঃ আবু বাক্কারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। আসামীর নিজ বসত বাড়ী। অবস্থান থেকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক। অবস্থায় নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার হয়, মামলা- (১) রাজশাহী এর গোদাগাড়ী থানার এফআইআর নং-২৫, তারিখ- ১১ এপ্রিল, ২০২৩; জি আর নং-১৮২, তারিখ- ১১ এপ্রিল, ২০২৩; সময়- ১৭.৪০ ঘটিকা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

মো: বাক্কার আলী @ আবু বাক্কার পিতারঃ মৃত মোসলেম উদ্দিন স্থায়ী: (বর্তমান সাং-সিএনবি গড়ের মাঠ, স্থায়ী সাং-আষাড়িয়াদহ এর গোদাগাড়ী থানার এফআইআর নং-২, তারিখ- ০১ মার্চ, ২০১৯; তারিখ ০১ মার্চ, ২০১৯, সময়- ১৬.৩৫ ঘটিকা হইতে ১৭.০৫ ঘটিকা

মোঃ কবির @ কটা পিতারঃ আব্দুল কুদ্দুস স্থায়ী: সাং-দিয়ার মানিকচর এর গোদাগাড়ী থানার, এফআইআর নং-২৩/২০৯, তারিখ- ৩১ মে, ২০২০; জি আর নং-, তারিখ- ১৭ মার্চ, ২০২৩; সময়-২০.৪৫ তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে ভুট্টুর ভাই কবির কটা।

মাদকের ব্যবসা এবং এই ভয়াবহ পরিস্থিতি শুধুমাত্র স্থানীয় জনগণের জন্যই নয়, বরং দেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, মাদক চোরাচালান এবং এর সাথে জড়িত সিন্ডিকেট ভাঙতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। দ্বিতীয় পর্বের নিউজে থাকছে বিস্তারিত।

বিস্তারিত দেখতে চোখ রাখুন

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চর আষাড়িয়াদহ সীমান্তে মাদকের রমরমা ব্যবসার মূলহোতা শরিফুল ভুটু ও বাক্কার

আপডেট সময় : ০৪:৪৩:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়াদহ ভারতীয় সীমান্তে ঘেষা এলাকায় মাদক চোরাচালানের ভয়াবহতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজিবির নজরদারি উপেক্ষা করে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট এই এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এই সিন্ডিকেটের মূল হোতা হিসেবে উঠে এসেছে মোঃ শরিফুল ইসলাম (ভুটু) ও মোঃ আবু বাক্কার এর নাম।

চর আষাড়িয়াদহ সীমান্তবর্তী দিয়ার মানিক চক গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস(হাগরা) ছেলে মোঃশরিফুল ইসলাম ওরফে ভুটু ) এবং তার সহযোগীরা নিয়মিত ভারত থেকে চোরাই পথে হেরোইন, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য দেশে আনছে।
স্থানীয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মোঃ শরিফুল ইসলাম (ভুটু) ও মোঃ আবু বাক্কার ও মোঃ কবির (কটা ) ভুট্টু ও কটা আপন দুই ভাই মাদক ব্যবসায়ী।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নদীর চরের প্রায় ৩২ কিলোমিটার এলাকা হেরোইন পাচারের জন্য নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই রুট দিয়ে ভারত থেকে চোরাই পথে হেরোইন, ফেনসিডিলসহ নানা মাদকদ্রব্য দেশে প্রবেশ করছে। গোদাগাড়ী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী চরাঞ্চলগুলোতে মাদক ব্যবসা বেড়েই চলেছে। এ সিন্ডিকেট এতটাই সক্রিয় যে, তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করে লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক বনে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, তারা চোরাচালানের আড়ালে ভুটু ও তার পরিবার নিজেদের রাজমিস্ত্রি ও কৃষিকাজের পরিচয় দেন। তবে বাস্তবে তারা বিলাসবহুল বাড়ি এবং জমিজমা কিনে এলাকায় প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন। তারা মাদক সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিয়ে এলাকায় অঢেল সম্পদ গড়ে তুলেছে। গোদাগাড়ী সিএনবি তালতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকায় তাদের বিলাসবহুল বাড়ি এবং জমিজমা ক্রয় করে তাদের অবৈধ আয়ের প্রতিফলন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, রাতের অন্ধকারে সীমান্তবর্তী বাড়িগুলোর সুবিধা কাজে লাগিয়ে এই সিন্ডিকেট মাদক পাচার কার্যক্রম চালায়। বিজিবির নজরদারি উপেক্ষা করে তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনগণ বিজিবির আরও কঠোর নজরদারি এবং এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

জানা যায়,মোঃ শরিফুল ইসলাম (ভুটু) এবং মোঃ আবু বাক্কারের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা থাকলেও তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়নি। আসামীর নিজ বসত বাড়ী। অবস্থান থেকে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক। অবস্থায় নিয়মিত মামলায় গ্রেফতার হয়, মামলা- (১) রাজশাহী এর গোদাগাড়ী থানার এফআইআর নং-২৫, তারিখ- ১১ এপ্রিল, ২০২৩; জি আর নং-১৮২, তারিখ- ১১ এপ্রিল, ২০২৩; সময়- ১৭.৪০ ঘটিকা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

মো: বাক্কার আলী @ আবু বাক্কার পিতারঃ মৃত মোসলেম উদ্দিন স্থায়ী: (বর্তমান সাং-সিএনবি গড়ের মাঠ, স্থায়ী সাং-আষাড়িয়াদহ এর গোদাগাড়ী থানার এফআইআর নং-২, তারিখ- ০১ মার্চ, ২০১৯; তারিখ ০১ মার্চ, ২০১৯, সময়- ১৬.৩৫ ঘটিকা হইতে ১৭.০৫ ঘটিকা

মোঃ কবির @ কটা পিতারঃ আব্দুল কুদ্দুস স্থায়ী: সাং-দিয়ার মানিকচর এর গোদাগাড়ী থানার, এফআইআর নং-২৩/২০৯, তারিখ- ৩১ মে, ২০২০; জি আর নং-, তারিখ- ১৭ মার্চ, ২০২৩; সময়-২০.৪৫ তাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে ভুট্টুর ভাই কবির কটা।

মাদকের ব্যবসা এবং এই ভয়াবহ পরিস্থিতি শুধুমাত্র স্থানীয় জনগণের জন্যই নয়, বরং দেশের নিরাপত্তার জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা মনে করছেন, মাদক চোরাচালান এবং এর সাথে জড়িত সিন্ডিকেট ভাঙতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সক্রিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। দ্বিতীয় পর্বের নিউজে থাকছে বিস্তারিত।

বিস্তারিত দেখতে চোখ রাখুন