০৮:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শ্যালো মেশিন পুড়িয়ে ফেলায় ধান আবাদ অনিশ্চিত

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

গোদাগাড়ী ( রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দিয়াড় মানিকচক গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুইটি শ্যালো মেশিন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৬ বিঘা জমির ধান আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগী কৃষক মো. ইসরাইল এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে একই গ্রামের ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মো. বাক্কার, মো. আসাদুল, আবদুল কুদ্দুসসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

কৃষক ইসরাইল জানান, দিয়াড় মানিকচক মৌজার ২.৬৫ একর জমি তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। তবে অভিযুক্তরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে এবং এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।

তিনি বলেন, শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে নিজের ও অন্যের ১৬ বিঘা জমির সেচ কার্যক্রম পরিচালিত হতো। শ্যালো মেশিন পুড়িয়ে দেওয়ায় সেচ বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অভিযুক্ত মো. জয়নাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা জমির দিকে যাইনি। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমরা জানি না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।

গোদাগাড়ী থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্থানীয়রা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সময়মতো সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে ১৬ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে কৃষকের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।

স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও আইনি ব্যবস্থা এ সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে শ্যালো মেশিন পুড়িয়ে ফেলায় ধান আবাদ অনিশ্চিত

আপডেট সময় : ০৬:২৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

গোদাগাড়ী ( রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দিয়াড় মানিকচক গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুইটি শ্যালো মেশিন পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৬ বিঘা জমির ধান আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

ভুক্তভোগী কৃষক মো. ইসরাইল এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে একই গ্রামের ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে মো. বাক্কার, মো. আসাদুল, আবদুল কুদ্দুসসহ আরও কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

কৃষক ইসরাইল জানান, দিয়াড় মানিকচক মৌজার ২.৬৫ একর জমি তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন। তবে অভিযুক্তরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে এবং এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।

তিনি বলেন, শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে নিজের ও অন্যের ১৬ বিঘা জমির সেচ কার্যক্রম পরিচালিত হতো। শ্যালো মেশিন পুড়িয়ে দেওয়ায় সেচ বন্ধ হয়ে গেছে, যার ফলে ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অভিযুক্ত মো. জয়নাল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা জমির দিকে যাইনি। কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমরা জানি না। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।

গোদাগাড়ী থানার ওসি রুহুল আমিন জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও স্থানীয়রা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। সময়মতো সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে ১৬ বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়ে কৃষকের বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে।

স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও আইনি ব্যবস্থা এ সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।