রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর মোহনপুর থানাধীন জাহানাবাদ ইউপির কোটালিপাড়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এর সাথে কৃষক রফিকুল ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল।

দীর্ঘদিন ধরে চলমান বিরোধটি উভয় পক্ষের মাঝে নিষ্পত্তির জন্য ২২ মে বেলা ১২ টার টার দিকে জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদে মোহনপুর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আর রশিদ এর নেতৃত্বে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশে বসেন।

এসময় ইউনিয়ন পরিষদ কম্পাউন্ডের ভেতর দুটি মোটরসাইকেলে কয়েকজন লোক সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করছিল। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও স্কুলব্যাগে ককটেল সাদৃশ্য বস্তু দেখতে পায়। এরপর তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের দেতলার একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। মোহনপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও স্কুলব্যাগে ককটেল সদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেন।

মোহনপুর উপজেলা বিএনপি’র দাবি সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আর রশিদকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে বোমাগুলি আনা হয়েছিল।

এঘটনায় আটকৃতরা হলেন মোহনপুর থানাধীন নওপাড়াগ্রামের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে আলিফ হোসেন (১৮), রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানাধীন নওদাপাড়া গ্রামের শাহিনুর রহমানের ছেলে সোহাগ আহমেদ (২৯), চন্দ্রিমা থানাধীন শালবাগান এলাকার বাবলার ছেলে বাপ্পি (৩০), পাপ্পু (২৮), মুনসুর রহমানের ছেলে মিনহাজুল ইসলাম সোহান (২৬) পবা থানাধীন শ্রীপুর গ্রামের বেলাল হোসেন এর ছেলে মোঃ মারুফ মোর্তুজা (২৭) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় পুলিশ দুই মোটরসাইকেল জব্দ করে।

ঘটনাস্থলে বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ও সিআরটি কুইক রিস্পন্স টিমের এসআই মেহেদি হাসানসহ অন্যান্য সদস্যরা কাজ করছে। স্কুল ব্যাগ হতে লাল ও কালো রংয়ের ছয়টি ককটেল পাওয়া গেছে। যা ধ্বংস করা হয়েছে। ককটেলগুলি ধ্বংসের সময় বিকট শব্দ হয়। যা ওই এলাকায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত শোনা যায়।

মোহনপুর থানা কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, দেশী অস্ত্র বাদে স্কুল ব্যাগে ছয়টি ককটেল পাওয়া গেছে। বোম ডিস্পোজাল ইউনিট ককটেল গুলি ধ্বংস করেছে। রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করেছে থানা পুলিশ।

ওসি আরো জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।