০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“রাজশাহীতে অস্ত্রের মুখে কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতি; ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসপি ফারজানা ইসলাম”

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / ৫৭৭ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুরে একটি কোল্ড স্টোরেজে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ এক ডাকাতদল হিমাগারে হানা দিয়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নেয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বাকশিমইল ইউনিয়নের গাঙ্গোপাড়া গ্রামে অবস্থিত ‘দেশ কোল্ড স্টোরেজ’-এ এঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, যা পুরো তদন্তে নতুন গতি সঞ্চার করেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল রাজশাহী-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কোল্ড স্টোরেজটিতে হানা দেয়। দেশীয় অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তাকর্মী ও শ্রমিকদের জিম্মি করে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা দামি যন্ত্রপাতি খুলে লুট করে এবং দুটি ট্রাকে করে নিয়ে যায়।

নিরাপত্তাকর্মী তাহের আলী বলেন, “আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। ডাকাতরা এসে ‘আকাশ’ নামের একজনকে খোঁজে। বলি, এখানে সে নামে কেউ নেই। তখনই তারা আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।”

কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার আকবর আলী জানান, ডাকাতরা স্টোর থেকে ৩টি জেনারেটর, ৩টি ইউপিএস, ৩৬টি তামার বার, পাওয়ার ট্রান্সফরমারের ৩৫ ফুট সংযোগ তার, ৫টি সাবমারসিবল পাম্প, ৩টি ব্যাটারি এবং একটি এসি মেশিন খুলে নিয়ে যায়। এছাড়াও অফিস কক্ষ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নগদ অর্থ লুট করে। পুরো অফিস তছনছ করে তারা পালিয়ে যায়।

মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “রাত দেড়টা থেকে ৪টার মধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে কাজ করছে। লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”

ডাকাতির খবর পেয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফারজানা ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং তদন্তকারী দলকে সরেজমিনে দিকনির্দেশনা দেন। তার সঙ্গে ছিল সিআইডির একটি বিশেষ দল, যারা আলামত সংগ্রহ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতির সময় পুলিশের নিয়মিত টহল দলকে ফাঁকি দিয়ে ডাকাতরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় এবং পুরো হিমাগার থেকে মূল্যবান মালামাল লুট করে নেয়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

“রাজশাহীতে অস্ত্রের মুখে কোল্ড স্টোরেজে ডাকাতি; ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসপি ফারজানা ইসলাম”

আপডেট সময় : ১১:০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুরে একটি কোল্ড স্টোরেজে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধ এক ডাকাতদল হিমাগারে হানা দিয়ে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নেয়। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বাকশিমইল ইউনিয়নের গাঙ্গোপাড়া গ্রামে অবস্থিত ‘দেশ কোল্ড স্টোরেজ’-এ এঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই রাজশাহীর পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, যা পুরো তদন্তে নতুন গতি সঞ্চার করেছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, বুধবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে ২০-২৫ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাতদল রাজশাহী-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কোল্ড স্টোরেজটিতে হানা দেয়। দেশীয় অস্ত্রের মুখে নিরাপত্তাকর্মী ও শ্রমিকদের জিম্মি করে হাত-পা ও চোখ-মুখ বেঁধে ফেলে। এরপর তারা দামি যন্ত্রপাতি খুলে লুট করে এবং দুটি ট্রাকে করে নিয়ে যায়।

নিরাপত্তাকর্মী তাহের আলী বলেন, “আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। ডাকাতরা এসে ‘আকাশ’ নামের একজনকে খোঁজে। বলি, এখানে সে নামে কেউ নেই। তখনই তারা আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে।”

কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার আকবর আলী জানান, ডাকাতরা স্টোর থেকে ৩টি জেনারেটর, ৩টি ইউপিএস, ৩৬টি তামার বার, পাওয়ার ট্রান্সফরমারের ৩৫ ফুট সংযোগ তার, ৫টি সাবমারসিবল পাম্প, ৩টি ব্যাটারি এবং একটি এসি মেশিন খুলে নিয়ে যায়। এছাড়াও অফিস কক্ষ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নগদ অর্থ লুট করে। পুরো অফিস তছনছ করে তারা পালিয়ে যায়।

মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, “রাত দেড়টা থেকে ৪টার মধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের একাধিক টিম তদন্তে কাজ করছে। লুট হওয়া মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।”

ডাকাতির খবর পেয়ে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ফারজানা ইসলাম দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন এবং তদন্তকারী দলকে সরেজমিনে দিকনির্দেশনা দেন। তার সঙ্গে ছিল সিআইডির একটি বিশেষ দল, যারা আলামত সংগ্রহ এবং প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডাকাতির সময় পুলিশের নিয়মিত টহল দলকে ফাঁকি দিয়ে ডাকাতরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায় এবং পুরো হিমাগার থেকে মূল্যবান মালামাল লুট করে নেয়।