০৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন মোহনপুর রানারআপ পুঠিয়া

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
  • / ৬২১ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহী প্রতিনিধি : জমজমাট উত্তেজনা, গর্জে ওঠা দর্শক, আর চোখ ধাঁধানো খেলা—এই সবকিছুর মধ্য দিয়ে শেষ হলো জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫।
চূড়ান্ত পর্বে মুখোমুখি হয় মোহনপুর উপজেলা বনাম পুঠিয়া উপজেলা।

২১ জুলাই (সোমবার) বিকেল ৩:৩০টায় রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে শুরু হয় ফাইনাল ম্যাচ। স্টেডিয়ামটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে ক্রীড়ামোদী দর্শকে। পুরো মাঠজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।

খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। প্রথমার্ধে মোহনপুর ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পুঠিয়া উপজেলা গোল শোধ করে ম্যাচে সমতা ফেরায়। নির্ধারিত সময়ের শেষে স্কোর সমান থাকায় ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে।

স্নায়ুক্ষয়ী টাইব্রেকারে মোহনপুর ৫-৪ গোল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয়, এবং এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা ঘরে তোলে। দুর্দান্ত খেলেও ট্রফি না জিতলেও, পুঠিয়া উপজেলার প্রনয় মারান্ডি ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হিসেবে নির্বাচিত হন — তার কৌশল, গতি ও বল নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা সবার প্রশংসা কুড়ায়।

খেলা শেষে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আফিয়া আখতার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী খোন্দকার আজিম আহমেদ, এনডিসি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম (বার), পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান (RMP), রাজশাহী পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন: “ফুটবল শুধু একটি খেলা নয়, এটি আমাদের যুবসমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখার এক কার্যকর হাতিয়ার। মাঠে যেভাবে তরুণেরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিচ্ছে, তাতে জাতি ভবিষ্যতে নেতৃত্ব ও শৃঙ্খলায় আরও এগিয়ে যাবে।”

জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন:
“এই আয়োজন শুধু প্রতিযোগিতা নয়, এটি তরুণ সমাজের মধ্যে ঐক্য, শৃঙ্খলা ও অংশগ্রহণমূলক চেতনা সৃষ্টি করছে। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন যেন অব্যাহত থাকে, সেই প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।”

পুরো আয়োজনটি রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে। বিশেষ করে গ্রামের কিশোর ও তরুণদের মাঝে ফুটবলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা।

এই ধরনের টুর্নামেন্ট একদিকে যেমন খেলাধুলার বিকাশ ঘটায়, অন্যদিকে যুব সমাজকে সুস্থ ও গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখে — এমনটাই আশা করছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন মোহনপুর রানারআপ পুঠিয়া

আপডেট সময় : ০৪:৫২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

রাজশাহী প্রতিনিধি : জমজমাট উত্তেজনা, গর্জে ওঠা দর্শক, আর চোখ ধাঁধানো খেলা—এই সবকিছুর মধ্য দিয়ে শেষ হলো জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫।
চূড়ান্ত পর্বে মুখোমুখি হয় মোহনপুর উপজেলা বনাম পুঠিয়া উপজেলা।

২১ জুলাই (সোমবার) বিকেল ৩:৩০টায় রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে শুরু হয় ফাইনাল ম্যাচ। স্টেডিয়ামটি কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে ক্রীড়ামোদী দর্শকে। পুরো মাঠজুড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ।

খেলার শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে খেলা। প্রথমার্ধে মোহনপুর ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে পুঠিয়া উপজেলা গোল শোধ করে ম্যাচে সমতা ফেরায়। নির্ধারিত সময়ের শেষে স্কোর সমান থাকায় ম্যাচ গড়ায় ট্রাইব্রেকারে।

স্নায়ুক্ষয়ী টাইব্রেকারে মোহনপুর ৫-৪ গোল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয়, এবং এই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে শিরোপা ঘরে তোলে। দুর্দান্ত খেলেও ট্রফি না জিতলেও, পুঠিয়া উপজেলার প্রনয় মারান্ডি ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হিসেবে নির্বাচিত হন — তার কৌশল, গতি ও বল নিয়ন্ত্রণে দক্ষতা সবার প্রশংসা কুড়ায়।

খেলা শেষে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আফিয়া আখতার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী খোন্দকার আজিম আহমেদ, এনডিসি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান পিপিএম (বার), পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান (RMP), রাজশাহী পুলিশ সুপার ফারজানা ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেন: “ফুটবল শুধু একটি খেলা নয়, এটি আমাদের যুবসমাজকে মাদক ও অপরাধ থেকে দূরে রাখার এক কার্যকর হাতিয়ার। মাঠে যেভাবে তরুণেরা নিজেদের সর্বোচ্চটা দিচ্ছে, তাতে জাতি ভবিষ্যতে নেতৃত্ব ও শৃঙ্খলায় আরও এগিয়ে যাবে।”

জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন:
“এই আয়োজন শুধু প্রতিযোগিতা নয়, এটি তরুণ সমাজের মধ্যে ঐক্য, শৃঙ্খলা ও অংশগ্রহণমূলক চেতনা সৃষ্টি করছে। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন যেন অব্যাহত থাকে, সেই প্রচেষ্টা থাকবে আমাদের।”

পুরো আয়োজনটি রাজশাহীর ক্রীড়াঙ্গনে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেছে। বিশেষ করে গ্রামের কিশোর ও তরুণদের মাঝে ফুটবলকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নতুন উদ্দীপনা।

এই ধরনের টুর্নামেন্ট একদিকে যেমন খেলাধুলার বিকাশ ঘটায়, অন্যদিকে যুব সমাজকে সুস্থ ও গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত রাখে — এমনটাই আশা করছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা।