মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের লোক দেখানো অভিযানে আটক ১

- আপডেট সময় : ০৭:০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজশাহীর মোহনপুরে এ্যালকোহল (রেক্টিফাইড স্প্রিট কট) পানে মারা গেছে চারজন। এঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের মাদক প্রতিরোধে অভিযান ও মাদক ব্যবসায়ীদের আটকে ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। মূলত মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের নিয়মিত অভিযান পরিচালনার কথা থাকলেও ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় দেদারসে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা এমনই দাবি করছেন মাদক প্রতিরোধ কমিটি।
নিরাপদে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করায় মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নে এ্যালকোহল পানে ৪জন নিহতের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এরই ধারাবাহিকতায় বৈষম্যবিরোধীদের জনরোষ থেকে বাঁচতে ও উর্ধতন মহলকে জবাবদিহি করতে ১১ জানুয়ারি শনিবার মোহনপুর থানা এলাকায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ক সার্কেল স্টাফ এএসআই আহমেদ শোভা, এএসআই মোঃ সোহেল রানা ও এসআই মোছাঃ হাফিজা খাতুনের একটি রেইড টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঘাসিগ্রাম ইউপির গোছা এলাকায় বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে একটি বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আনোয়ার হোসেন ওরফে রানা (৪০) কে আটক করে। এরপর তার বাড়ি তল্লাশি করে ৩’শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর টিম। রানা ওই এলাকার মৃত আহম্মদের ছেলে।
এঘটনায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ক সার্কেল এসআই মোঃ আতোয়ার হোসেন বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মোহনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ক সার্কেল এসআই মোছাঃ হাফিজার বিরুদ্ধে মোহনপুরে মাদক ব্যবসায়ীদের থেকে মাসিক মাসোহারা নেওয়ার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সোর্সের মাধ্যমে জানা গেছে এসআই হাফিজা অনেক মাদক ব্যবসায়ীর থেকে মাসিক মাসোহারা নিয়ে থাকেন। যেসব মাদক ব্যবসায়ী নিয়মিত মাসেহারা দেননা বেছে বেছে তাদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযান পরিচালনা করা হয়। যে চিহ্নিত মাদক সম্রাট হান্নানের কারণে চারটি প্রাণ ঝরে গেল তার বাড়িতে বা তাকে ধরতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি।জানা গেছে তার স্ত্রী আরিফা একজন চিহ্নিত মাদক সম্রাজ্ঞী। এপর্যন্ত কেন তাদের গ্রেফতার করা হলনা এনিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকে আংগুল উঠিয়েছেন সচেতন মহলসহ সুশীল সমাজ।
এবিষয়ে মোহনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, আমার জানামতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিশেষ কোন অভিযান অত্র থানায় পরিলক্ষিত হয়নি। ১১জানুয়ারি ১জন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
এবিষয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ক সার্কেল পরিদর্শক মোঃ রায়হান আহম্মেদ খান বলেন, মোহনপুর থানা এলাকায় অনেকগুলি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমার কোন সদস্যের বিরুদ্ধে অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ প্রমানিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্যঃ গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার (৮ ও ৯ জানুয়ারি) এ্যালকোহল (রেক্টিফাইড স্প্রিট কট) পানে মারা গেছে চারজন। আরো চার জন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।