০২:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীতে মেডিকেল ভিসায় ভুয়া কাগজপত্রসহ ব্যক্তি আটক

রিপোর্টারের নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • / ৫৮৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করতে গিয়ে ভুয়া কাগজপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তি ধরা পড়েছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বর্ণালী মোড়স্থ ভারতীয় ভিসা অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

আটক ব্যক্তির নাম রাজকুমার রায়। তিনি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সময় তার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হয়।

রাজকুমার রায় জানান, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ বাজারের “সুজন কম্পিউটার” নামের একটি দোকান থেকে তিনি এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। দোকান মালিক সুজন নামে এক ব্যক্তি তাকে ভিসা শতভাগ নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। এর বিনিময়ে তিনি ৫ হাজার ৫০০ টাকা নেন এবং পরবর্তীতে আরও ১ হাজার টাকা দাবি করেন।

বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, রাজশাহী, দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছে।

ভারতীয় ভিসা হেল্প সেন্টার ম্যানেজার বিপ্লব সাহা জানান, প্রতিদিন প্রায় ১৫০টি ভিসা আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। এর মধ্যে গড়ে ২০টির মতো কাগজপত্র জাল প্রমাণিত হচ্ছে। তিনি বলেন, “ভিসা দেওয়ার নামে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মানুষের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আমরা এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করছি, যাতে কেউ প্রতারণার শিকার না হয়।”

জনসচেতনতার আহ্বান জানিয়ে রাজশাহীর ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার শ্রী মনোজ কুমার বলেন, “ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে— অনুমোদনহীন এজেন্ট এড়িয়ে কেবল সরকারি অনুমোদিত চ্যানেলের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভিসা দেওয়ার নামে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে যারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। এসব প্রতারণামূলক চক্র আবেদনকারীদের অর্থ ও সুযোগ— উভয়ই নষ্ট করে দিচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি। যারা ভিসা নিতে আগ্রহী, তারা সরাসরি আবেদন করে অফিসে যোগাযোগ করলে কাগজপত্র ও অসুস্থতার বিষয়টি যাচাই-বাছাই শেষে সহজ প্রক্রিয়ায় ভিসা প্রদান করা হচ্ছে। ভিসা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা রক্ষা করা শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে মেডিকেল ভিসায় ভুয়া কাগজপত্রসহ ব্যক্তি আটক

আপডেট সময় : ০১:১৭:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে ভারতীয় মেডিকেল ভিসার জন্য আবেদন করতে গিয়ে ভুয়া কাগজপত্র জমা দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তি ধরা পড়েছেন। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বর্ণালী মোড়স্থ ভারতীয় ভিসা অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

আটক ব্যক্তির নাম রাজকুমার রায়। তিনি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ থানার লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা। ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সময় তার চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হয়।

রাজকুমার রায় জানান, দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ বাজারের “সুজন কম্পিউটার” নামের একটি দোকান থেকে তিনি এসব কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। দোকান মালিক সুজন নামে এক ব্যক্তি তাকে ভিসা শতভাগ নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন। এর বিনিময়ে তিনি ৫ হাজার ৫০০ টাকা নেন এবং পরবর্তীতে আরও ১ হাজার টাকা দাবি করেন।

বিষয়টির আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, রাজশাহী, দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করেছে।

ভারতীয় ভিসা হেল্প সেন্টার ম্যানেজার বিপ্লব সাহা জানান, প্রতিদিন প্রায় ১৫০টি ভিসা আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়। এর মধ্যে গড়ে ২০টির মতো কাগজপত্র জাল প্রমাণিত হচ্ছে। তিনি বলেন, “ভিসা দেওয়ার নামে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মানুষের কাছ থেকে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। আমরা এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবহিত করছি, যাতে কেউ প্রতারণার শিকার না হয়।”

জনসচেতনতার আহ্বান জানিয়ে রাজশাহীর ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার শ্রী মনোজ কুমার বলেন, “ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশি নাগরিকদের সতর্ক করেছে— অনুমোদনহীন এজেন্ট এড়িয়ে কেবল সরকারি অনুমোদিত চ্যানেলের মাধ্যমে ভিসা আবেদন করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ভিসা দেওয়ার নামে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করে যারা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। এসব প্রতারণামূলক চক্র আবেদনকারীদের অর্থ ও সুযোগ— উভয়ই নষ্ট করে দিচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছি। যারা ভিসা নিতে আগ্রহী, তারা সরাসরি আবেদন করে অফিসে যোগাযোগ করলে কাগজপত্র ও অসুস্থতার বিষয়টি যাচাই-বাছাই শেষে সহজ প্রক্রিয়ায় ভিসা প্রদান করা হচ্ছে। ভিসা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা রক্ষা করা শুধু কূটনৈতিক সম্পর্ক নয়, সাধারণ মানুষের আস্থা বজায় রাখার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”